সাকিবের ঘূর্ণিতে ১৮৬ রানে অলআউট ভারত

খেলাধুলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:০৩:১৫পিএম, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে ৪১ ওভার দুই বলে সবকয়টি উইকেট হারায় কোহলি-রোহিতরা। সাকিব একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম রবিবার টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে ২৩ রান করে রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের উদ্বোধনী জুটি। শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলাররা করে আসছিলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। কিন্তু মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা। অবশেষে ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ পেল সাফল্য।

ষষ্ঠ ওভারে বল করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে যান ধাওয়ান। পায়ে বল লেগে সেটি পৌঁছে যায় তার বুকে। এরপর আঘাত হানে স্টাম্পে। প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ ও ব্যক্তিগত ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধাওয়ান।

এরপর ভারতীয় শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের প্রথম শিকার ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলের রান তখন ৪৮। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৭ রান। দলের রান যখন ৪৯ তখন সাকিবের দ্বিতীয় শিকার কোহলি। ১৫ বলে ৯ রান করেন ভারতের এই রান মেশিন।

৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন। এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার। তিনি ফেরেন ২৪ রানে।

সাকিবের তিন নম্বর উইকেট ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই তিনি আউট করেন বাউন্ডারি নিয়ে ভুগতে থাকা এই ব্যাটারকে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা এবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে ৪৩ বলে ১৯ রান করা সুন্দর।  

এরপর আবারও এক ওভারে দুই উইকেট পান সাকিব। ৩৫তম ওভারে এসে শুরুতে শার্দুল ঠাকুরকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর দ্বীপক চাহারকে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার পূর্ণ হয় সাকিবের।  

অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে লম্বা সময় ক্রিজে ছিলেন লোকেশ রাহুল। নবম ব্যাটার হিসেবে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন তিনি। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় দলের পক্ষে ৭০ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন সাকিব। ৮ ওভার দুই বল হাত ঘুরিয়ে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন এবাদতও। বাকি উইকেটটি মেহেদী হাসান মিরাজের।