বিশ্বকাপের মঞ্চে এই প্রথম মুখোমুখি ইংল্যান্ড-সেনেগাল
২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসে সেনেগাল। প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত। ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন জিদানের ফ্রান্সকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়। ওই আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে ক্যামেরুনের পর দ্বিতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে। কাতার বিশ্বকাপে পুনরায় সুযোগ এসেছে সেনেগালের সেরা আটে খেলার। তবে কাজটি সহজ নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে সেনেগালকে টপকাতে হবে ইংল্যান্ডের দুর্ভেদ্য ওয়াল। যা আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পর্বত কিলিমাঞ্জারো পাড়ি দেওয়ার চেয়েও দূরূহ!
গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। ‘বি’ গ্রুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হচ্ছে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ সেনেগালের। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল বেলজিয়ামের কাছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়েছিল ইতালির কাছে হেরে। গত বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ছিলেন হ্যারি কেইন। ৬ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট।
এবার গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে গোল পাননি একটিও। ইংলিশ কোচ সাউথগেট এ নিয়ে চিন্তিত। তবে মার্কাস রাশফোর্ড, রাহিম স্ট্যার্লিং, জুড বেলিংহাম, বুকায়া সাকা কোচের চিন্তাকে দূর করছেন। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিবেশী ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেনেগাল প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডসের কাছে।
পরের দুই ম্যাচে হারায় স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরকে। কাতারকে হারায় ৩-১ গোলে এবং ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পায় ২-১ গোলে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলছে ১৯৫০ সাল থেকে। ১৯৬৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেমিফাইনাল খেলে আরও দুবার। ১৯৯০ ও ২০১৮ সালে চতুর্থ হয়। সেনেগাল এ নিয়ে তিনবার বিশ্বকাপে খেলছে। ইংল্যান্ড ও সেনেগাল এই প্রথম বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে।