দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি পর্তুগাল
কাতার বিশ্বকাপে এইচ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের পর্তুগাল। প্রথম দুই ম্যাচে ঘানাকে ৩-২ গোলে এবং উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। ছয় পয়েন্ট নিয়ে তারাই গ্রুপের শীর্ষে। গোল ব্যবধান +৩। নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আজ ম্যাচটা হারলেও গ্রুপের শীর্ষে থাকার সুযোগ আছে পর্তুগালের। বিশেষ করে উরুগুয়ের বিপক্ষে ঘানা পয়েন্ট হারালে অথবা ২-০ বা তার কম ব্যবধানে জয় পেলে।
এইচ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে পর্তুগালের সঙ্গী হতে পারে ঘানা কিংবা উরুগুয়ে। ঘানা বড় ব্যবধানে উরুগুয়েকে হারালে অন্যদিকে পর্তুগাল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে গেলে গ্রুপসেরা হতে পারে ঘানা। সেক্ষেত্রে নকআউট পর্বের শুরুতেই ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে হবে পর্তুগালকে। অবশ্য এসব হিসাব নিকাশ খুব একটা করছে না পর্তুগিজরা।
গতকাল দলের তারকা ফুটবলার পেপে বললেন, ‘বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করার স্বপ্ন সবারই থাকে। আমাদেরও আছে। আমরা এই লক্ষ্যেই তো ছুটে চলেছি। কালও (আজ) জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামব।’ অবশ্য সন হিয়াঙ মিনদের দক্ষিণ কোরিয়ার শক্তি-সামর্থ্যরে প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই মাঠে নামবেন রোনালদোরা। দুই দল এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ডি গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় পর্তুগাল। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছেন রোনালদোরা!
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অতীত কোনো মন্তব্য করেননি পেপে কিংবা কোচ ফার্নান্দো। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশ গবেষণা করেছে পর্তুগাল। পেপে বললেন, ‘আমরা জানি, দক্ষিণ কোরিয়া দলে সন হিয়াঙ মিনের মতো ভালো মানের ফুটবলার আছে। যারা খুব দ্রুত আক্রমণে যেতে পারে। আবার দলবদ্ধভাবে দারুণ একটা দল তারা। তাদের সবদিক বিবেচনায় আছে আমাদের।’
কোচ ফার্নান্দোও পেপের মতোই বলে গেলেন, কোনো দুর্ঘটনার শিকার হতে রাজি নয় পর্তুগাল। এবারের বিশ্বকাপে এরই মধ্যে বেশ কটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। শেষ দুর্ঘটনা হলো দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের ক্ষেত্রে।