টেকনাফে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন বাবা-ছেলে

খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:০০:৩৯পিএম, ২ অক্টোবর, ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে জিম্মি হওয়া কৃষক নজির আহমদ (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন জিম্মিকারীরা। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বাবা-ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও নজিরের শ্যালক নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নজির আহমদ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে।পুলিশের দাবি, ঘটনাটি অপহরণ নয়। গরুর ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাদের জিম্মি করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাদের জিম্মি করেছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায়নি।

টেকনাফ মডেল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, ‘বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুইজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনো মামলা করেননি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
 
তিনি আরও জানান, ‘পুলিশের তৎপরতায় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।’ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক ক্ষেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাদের ১০-১২ জন জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যান।

এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধান ক্ষেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসা ক্ষেত থেকে জিম্মি করেন সন্ত্রাসীরা। কৃষকদের স্বজনেরা দল বেধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যান। পরে জিম্মিকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

নজির আহমদের শ্যালক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শনিবার বিকালে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগ্নে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে মারধর করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’