‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা ’শীর্ষক স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

দেশজুড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৪৮:৪৩এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘‘জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ।বঙ্গবন্ধু থেকে  শেখ হাসিনা’’ ( ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪-২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০) উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট  অবমুক্ত  করা হয়। এই উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর  দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত  এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ শুক্রবার ঢাকায় ডাক ভবন মিলনায়তনে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড ও সীলমোহর প্রকাশ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগা সচিব মো: খলিলূর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: ফয়জুল আজিমের সভাপতিত্বে এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু এবং বাংলা টাইপ রাইটার যন্ত্র প্রবর্তনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্র্রী বলেন, বিদ্যাসাগর থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার যে ভিত্তি রচনা করেছেন তা অসাধারণ।  বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তর সূরি হিসেবেই নয়  বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ আমাদের জন্য বড় অহংকার বলে তিনি উল্লেখ করেন। পিতার  পথ ধরে কণ্যার যে যাত্রা তা স্মরণীয় রাখতে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা সুরক্ষিত। আমরা স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছি।টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৯৫২ সালের অক্টোবরে চীনের পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে বাংলায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা প্রদানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে শান্তি সম্মেলেনে যোগদান করে বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তৃতা করে বাংলা ও বাঙালিকে তুলে ধরেছেন বৈশ্বিক পরিমন্ডলে। তিনি বলেন এই স্মারক  ডাকটিকিট নতুন প্রজন্মের কাছে একদিন  বাংলা ও বাঙালির গৌরবের ইতিহাসের কথা বলবে। বঙ্গবন্ধু ও তার কণ্যা রাষ্ট্রগঠন থেকে শুরু করে সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য যা যা করেছেন তা স্মরণ করা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।  ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে দেবনাগরী প্রভাব মুক্ত বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা প্রবর্তণ লড়াইয়ের অন্যতম নেতা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি এই তিন নিয়ে কোন আপস করা যায় না। তিনি সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। মন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদানের এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য আরও একটি ঐহিহাসিরক দিন বলে বর্ণনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর নেত্বত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ‘‘জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ।বঙ্গবন্ধু থেকে  শেখ হাসিনা’’ ( ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪-২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০) উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট  প্রকাশকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,  এই বিষয়ে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এটিকে একটি মহৎ উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন।