ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগেই আলটিমেটাম
সাড়াশি অভিযান শুরুর আগেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত সুরক্ষাবিষয়ক পরিচালক টম হম্যান। সোমবার ট্রাম্পের এ নিয়োগের অভিপ্রায় জানার পরই আইসের (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টম হম্যান গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে ন্যাশনাল গার্ড অথবা সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে। আর যারা নানা দুষ্কর্মে কারাগারে আছেন, তাদের সেখান থেকেই হাতকড়া পরিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ ২১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের এই কর্মসূচি।
গত নির্বাচনে ভোটারদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলেও উল্লেখ করেন টম হম্যান। উল্লেখ্য, আইসের পরিচালক হিসেবে প্রেসিডেন্টের এই মনোনয়নে ইউএস সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। টম হম্যান আরও বলেছেন, নানা অপরাধে জড়িত থাকা অবৈধ অভিবাসীরা ২০ জানুয়ারির পর একমুহূর্তও সুযোগ পাবেন না যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের। তাই এখনই সময় হচ্ছে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার। কারণ, ওই সব অবৈধরা কোথায় রয়েছেন সেটি প্রশাসনের অজানা নয়। সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব বিদেশিকে তাড়িয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন কঠোর মনোভাব প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে- তারা ট্রাম্পের কঠোর নীতির আওতায় নন। শুধু তারাই ঝুঁকিতে পড়বেন যাদের স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্টে আবেদন নাকচ হয়েছে, এসাইলামের আবেদন নাকচের পর বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে, বে-আইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমের পর অভিবাসনের মর্যাদা নিতে এখনো কোনো আবেদন করেননি। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পন্থা অবলম্বনের আগেই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া।
স্মরণ করা যেতে পারে, ২০-২২ বছর আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত সোয়া কোটি অভিবাসীর মধ্যে লাখখানেক বাংলাদেশিও আছেন। তারাও মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছেন ট্রাম্পের বহিষ্কারের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে। এদিকে, নতুন পররাষ্ট্রন্ত্রী হিসেবে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা হলে এই প্রথম লাতিনো বংশোদ্ভূত কোনো রাজনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন।