রোনালদো 'দানব', কিন্তু মেসি সেই 'দানবের বাবা' : গার্দিওলা
কত শত ফুটবলার মাঠ মাতিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও দলটির কেউ জিততে পারছিলেন না ব্যালন দ’র। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে অবশেষে। ইংলিশ ক্লাবটির প্রথম ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারটি জিতেছেন রদ্রি। তার এই অর্জনে খুবই উচ্ছ্বসিত সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
ম্যানচেস্টার ইতিহাসে গতকাল প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জেতেন রদ্রি। শুধু তাই নয়, ১৯৬০ সালের পর সোনালী ট্রফির ছোঁয়া পাওয়া প্রথম স্প্যানিশ খেলোয়াড়ও তিনি। কিন্তু লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া যে ব্যালন ডি’অর আলোচনা করা প্রায় অসম্ভব, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন পেপ গার্দিওলা। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, রোনালদোকে দানব ও মেসিকে দানবের বাবা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
সিটি কোচ বলেন, ‘শেষ দশকে স্প্যানিশ ফুটবল একটি পার্থক্য গড়ে দিয়েছে- তারা বিশ্বকাপ ও ইউরো জিতেছে, কিন্তু তাদের কোনো ফুটবলার এই পুরস্কারটি জিততে পারেনি। আমার মনে আছে, একবার লা মাসিয়া (বার্সা একাডেমি) থেকে তিনজন খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিল। জাভি এবং ইনিয়েস্তা জিততে পারেনি সেটা কারণ মেসি একজন দানব। কেউ তাকে হারাতে পারেনি শুধুমাত্র রোনালদো ছাড়া। রোনালদো একজন দানব এবং মেসি দানবের বাবা। ’
অনেকেই মনে করেন রদ্রির চেয়ে ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তেমনটা হলে খুব একটা মন খারাপ হতো না গার্দিওলার। তিনি বলেন, ‘ভিনিসিয়ুসের পাওয়া উচিত? হয়তো। এটি সাংবাদিক দ্বারা (নির্বাচিত), কোনো এলিট গ্রুপ (অভিজাত গ্রুপ) এই সিদ্ধান্ত নেয় না। শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ এটাতে ভোট দেয়। এখানে ভিন্ন মতামত আছে এবং এটাই কি ফুটবলকে সুন্দর করে তোলে না?’ প্রসঙ্গত, শুরুটা ২০০৮ থেকে- এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অরের জয়ের তালিকায় হয় লিওনেল মেসি, না হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। এবারই প্রথম ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেলেন না তারা।