সড়কে টার্মিনাল সীমাহীন ভোগান্তি

গণমাধ্যম
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:৫২:০৪এএম, ২৫ জুন, ২০২৪

যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইপাড় সড়কটি বাসের অবৈধ টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। চালকরা মর্জিমাফিক গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখেন সড়কের দুই পাশে। যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইপাড় যেতে ফুটপাত, গোমতী পাম্প স্টেশনের ভিতর ও বাইরে গড়ে উঠেছে বাসের কাউন্টার। এসব কাউন্টারকে কেন্দ্র করে সড়কে দুই-তিন সারি করে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। তোলা হয় যাত্রী। এতে মূল সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইপাড় যেতে বাঁয়ে সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে শরীয়তপুর সুপার, ইলিশ পরিবহন, স্টার ডিলাক্স, নিউ সোনালী পরিবহন, নড়াইল এক্সপ্রেস, সাকুরা পরিবহন, হানিফসহ ২০টির বেশি কোম্পানির কাউন্টার। একটি কোম্পানির দুই তিনটি করে কাউন্টার রয়েছে। এসব কাউন্টারের সামনে সড়কে বাস দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি কোম্পানির কাউন্টার থাকায় সড়কে দুই তিন সারিতে রাখা হয় বাস।

একটি বাস কাউন্টারের সামনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। ‘শরীয়তপুর সুপার’ কোম্পানির বাস বেশি থাকায় সড়কে তাদের গাড়ির উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। এই কোম্পানি গোমতী পাম্প স্টেশনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলে। একটি গাড়ি স্টেশনে ঢুকলে এর পেছনে আরও তিন চারটি সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়িগুলো পাম্পে ঢোকার সময় পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।

পাম্পে কথা হয় ‘শরীয়তপুর সুপার’ বাসের চেকার নজরুল ইসলাম আকনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গোমতী পাম্প স্টেশনের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা রয়েছে। সে জন্য তাদের পাম্পে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এ ছাড়া স্টার ডিলাক্স ও ইলিশ পরিবহন পাম্পের জায়গা ভাড়া নিয়েছে। তারাও এখান থেকে যাত্রী তোলে। যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় বাসের কাউন্টার রয়েছে। প্রতিটি বাসই যাত্রী তোলে। সে কারণে কিছুটা যানজট হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

শরীয়তপুর সুপারের বাসগুলো থেকে তিনি ১০০ টাকা করে তোলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বাস সার্ভিসের আরেক কর্মী বলেন, নজরুল ইসলাম আকন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যাত্রাবাড়ী থানা কৃষক লীগের সভাপতি। তিনি প্রতিটি বাস থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। তাকে টাকা না দিলে বাসই চলবে না। শুধু এখানে নয়, যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইপাড় সড়কের উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি বাস থেকে ১০০-২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেট।

সড়কের দুই পাশের দোকানের ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী লোকজন বলেন, সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ বাসস্ট্যান্ডের জন্য প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে। ঈদের আগেও যানজট ছিল, এখনো আছে। এখানে যানজট নিত্যদিনের।