শপথ পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকতে পারেন নীতীশ, মোদীর কাছে কী চাওয়া তার

আন্তর্জাতিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:৪১:১৯পিএম, ৭ জুন, ২০২৪

ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্রপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে 'কিং মেকার' বলা হচ্ছে। কারণ, ১০ বছর পর প্রকৃত অর্থে যে এনডিএ সরকার গঠিত হচ্ছে, সেখানে এই দুই নেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তাদের কাছে আছে মোট ২৮ জন সাংসদ। ফলে এনডিএ তাদের উপর নির্ভরশীল থাকবে। কিন্তু তাদের সমর্থন শর্তহীন নয়। তাদের দাবির তালিকাটা দীর্ঘ। তারা প্রথম থেকেই সেই দাবিপূরণ করার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির শপথ পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকতে পারেন নীতীশ। সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নীতীশ। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আশা করছেন। এদিকে,  মোদির নতুন সরকারের শপথ ৮ জুন (শনিবার) হওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে- শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় মোদি নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।

মোদীর কাছ থেকে যা চান নীতীশ ও চন্দ্রবাবু
বিহারে ৫২ শতাংশ মানুষ গরিব। দেশের সবচেয়ে গরিব রাজ্যগুলির মধ্যে বিহার একটি। তাই নীতীশ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চান। আর অন্ধ্র ভাগ হওয়ার পর শিল্পপ্রধান এলাকা চলে গেছে তেলেঙ্গানায়। অন্ধ্রের উপর আর্থিক দায় প্রচুর বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব কমেছে। তাই তারাও বিশেয মর্যাদা চায়। দুই রাজ্যকে এই মর্যাদা দিতে গেলে বছরে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার বাড়তি দায় এসে পড়বে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে।

 

কিন্তু এবার চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমার দুজনেই প্রথম থেকেই বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এর বাইরে মন্ত্রণালয় দাবির ক্ষেত্রে নীতীশকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু। তিনি পাঁচটি মন্ত্রণালয় চান। তার মধ্যে আছে গ্রামোন্নয়ন, জলসম্পদ, স্বাস্থ্য, সড়ক পরিবহন, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ। নীতীশের চাহিদার মধ্যে আছে রেল, গ্রামোন্নয়ন, কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়া নীতীশ চান, এনডিএ-কে একটা ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি নিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সরকার চলবে। 

এদিকে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই ২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে এনডিএ। এমনই জানালেন বিহারের বিজেপির সভাপতি তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে এনডিএ। সেটার জন্য আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।' এমন সময় তিনি সেই ঘোষণা করেছেন, যখন কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুদের মতো নেতাদের সাহায্য লাগছে। সেই পরিস্থিতিতে নীতীশদের যাতে গোঁসা না হয়, সেজন্যই সম্ভবত আগেভাগেই বিজেপির তরফে সেই ঘোষণা করে দেওয়া হল বলে রাজনৈতিক মহলের মত।