বঙ্গবন্ধু জাপান-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভীত স্থাপন করেন : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভীত স্থাপন করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই সম্পর্ক আরো দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর জাপান সফর উপলক্ষ্যে তিনি নৈশভোজের আয়োজন করেন। যেখানে হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভস অব জাপানের স্পিকার হিরোইউকি হসোদা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জাপান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছরের সাফল্য সম্বন্ধে স্পিকারকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত।
নৈশভোজে অংশ নিয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার বলেন, জাপান বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করা যেতে পারে। বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি-র সংগৃহীত জাপানী লেখক তাদামাসা ফুকিউরা কর্তৃক বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর লিখিত বইয়ের বাংলায় অনুদিত ‘রক্ত ও কাঁদা ১৯৭১’ বইটি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী লেখকের হাতে তুলে দেন।
নৈশভোজে সংসদ সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, খাদিজাতুল আনোয়ার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান, স্পিকারের একান্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ, যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদ এবং স্পিকারের সহকারী একান্ত সচিব উপসচিব মো. রাশেদ ইকবাল চৌধুরী নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।