ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

দেশজুড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:৪১:৩২পিএম, ২৪ মে, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ (২৩) নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকরাম জেলার সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরাকান্দা গ্রামের মাসুদ আহম্মেদের ছেলে। তারা শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকার ডা. ফরিদুল হুদা সড়কের বি-বাড়িয়া টাওয়ার নামক বহুতল ভবনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ঘাতক রায়হানকে (১৮) আটক করেছে। সে ঢাকার বংশাল এলাকার জিয়াউল করিমের ছেলে। রেদোয়ান আনসারী রিমুর মামাতো ভাই রায়হান কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিল। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে পৌর এলাকা শহরের মুন্সেফ পাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা উত্তর মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি রেদোয়ান আনসারী রিমুর বাড়িতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ অবস্থান করছিল। এ সময় রায়হানের সাথে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে বিতর্কের জেরে এক পর্যায়ে রায়হান ইকরাম আহমেদের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকমীরা ইকরামের হত্যার প্রতিবাদে ও দ্রুত বিচারের দাবিতে শহরের প্রধান সড়ক হাসপাতাল রোড বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রায়হান মাদকসেবী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

রেদোয়ান আনসারী রিমো জানান, রায়হান তার মামাতো ভাই। তার মামা ভারতে যাওয়ায় রায়হানকে এখানে রেখে যান। মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে ইকরামকে ছুরিকাঘাত করে রায়হান। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রায়হান মাদকসেবী বলে দাবি করে রিমো। সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, এ ঘটনায় ঘাতক রায়হানকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।