হবিগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র বিলাল হত্যাকাণ্ড, গ্রেফতার ৪
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের কদুপুরে মাদ্রাসাছাত্র বিলাল মিয়া হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রধান অভিযুক্ত। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় রোমহর্ষক ঘটনায় পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করল। শনিবার বিকালে হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত লায়েক আহমদ হৃদয় (২০) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-৪ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দির বরাতে বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, গত ২৬ জানুয়ারি কদুপুর গ্রামের একটি ধানের জমি থেকে বিলাল মিয়া (১০) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে নোয়াগাঁও গ্রামের ঈমান উদ্দিন ওরফে গয়বুল্লাহ’র পুত্র। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এরপর থেকে শুরু হয় ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত।
গত ২৫ জানুয়ারি কদুপুর বাজারে তাফসিল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শিশু বিলালের বাড়ি নোয়াগাঁও হলেও সে নানার বাড়ি কদুপুরে থেকে স্থানীয় কদুপুর মিছবা-উল-উলুম মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণিতে পড়ত। ওইদিন রাতে কদুপুর মিছবা-উল-উলুম মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে কদুপুর বাজারে মেলা বসে। বিলাল মিয়া উক্ত মেলাতে সন্ধ্যা অনুমান ৬ টার দিকে খেলনা কেনার জন্য যায়। এ সময় সে প্রতিবেশী নোয়াগাঁও গ্রামের লায়েক আহমদ হৃদয় (২০) এর অটোরিক্সা দেখে তাতে উঠার বায়না ধরে। এটা তার মৃত্যুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
লায়েক আহমদ হৃদয় (২০) কৌশলে কদুপুর গ্রামের জনৈক ৩ শিশু বয়স যথাক্রমে (১৭), (১৬), (১৬) কে তার সাথে নেয়। পরে তারা পরিকল্পনা করে বিলাল মিয়াকে বলাৎকার করে। বিলাল ঘটনা প্রকাশ করে দিবে জানায়। এতে অভিযুক্তরা ভয়ে বিলালকে খুন করার পরিকল্পনা করে। তারা বিলালকে একটি বোরো ধানের জমিতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত ঘাতক হৃদয়সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তরা শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।